শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধ চা-পাতা জব্দ করেছে বাংলাদেশ চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি এক ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপসচিব মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এই মোবাইল কোর্টে শ্রীমঙ্গল শহরের স্টেশন রোড, সোনার বাংলা রোড, হবিগঞ্জ রোড ও আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ চা-পাতা বিক্রির অভিযোগে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে সনাক্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সিন্দুরখান ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান আহমেদের মালিকানাধীন ‘মেসার্স গাছপীর এন্টারপ্রাইজ এন্ড টি হাউজ’-এর গুদাম থেকে ৭৫ বস্তা (প্রায় ৫২৫০ কেজি) ভারতীয় সিডি চা জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে চা সংরক্ষণের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বপ্রাপ্ত জুবেল মিয়াকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই দিনে হবিগঞ্জ রোডে অবস্থিত ‘গ্রীন লিফ টি ফ্যাক্টরি’ চা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া গ্রিন টি উৎপাদনের দায়ে সীলগালা করা হয় এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে গত ৮ জুলাইয়ের শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোড, স্টেশন রোড ও সোনারবাংলা রোডের কয়েকটি চা-পাতা বিক্রয় প্রতিষ্টানে এ অভিযান পরিচালনা করেন চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় অবৈধ ভাবে চা-পাতা মজুদ, বিএসটিআই অনুমোদনহীন বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে প্যাকেটজাত এবং অনুমোদনহীন ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে মৌলভীবাজার রোডের টুম্পা টেলিকম এন্ড টি হাউজ থেকে ৪০ বস্তা ভারতীয় অবৈধ চা জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটির মালিক চিনু ভূষণ দাসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইদিনে পদ্মা টি হাউস থেকে আরও ৩ বস্তা ভেজাল চা জব্দ করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া অনুমোদন ছাড়াই প্যাকেটজাত চা বিক্রির দায়ে গ্রিন লিফ টি হাউসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে চা বোর্ডের সহকারী পরিচালক (বাণিজ্য) মো. আব্দুল্লাহ আল বোরহান, বিটিআরআই পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার, প্রকল্প উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম এবং শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসা নিম্নমানের ও অনুমোদনহীন চা-পাতা বাজারজাত রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, “চা বোর্ডের বিডার ও ব্লেন্ডার লাইসেন্স ব্যতীত কোনোভাবেই চা বিক্রি বা উৎপাদন করতে দেওয়া হবে না। ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি।