নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে এবার নগরীর শেখঘাটে নির্বাচনী প্রচার চালালেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বাদ জুমা শেখঘাট জামে মসজিদে নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় তিনি সবার কাছে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য কাছে দোয়া চান।
এ সময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “যেকোন নির্বাচন এলে আমরা প্রার্থী হয়ে যাই। কিন্তু যারা আমাদেরকে ভোট দেবে, তাদের কোন মতামত গ্রহণ করি না। আমি নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে আমার নগরবাসীর মতামত নিচ্ছি। যারা আমার মুরব্বী তাদের ইজাজত নিচ্ছি। আমার দাবি পিছিয়ে পড়া সিলেটের উন্নয়ন তরান্বীত করা। এই মুহূর্তে সিলেট এক আসনে তারেক রহমান যদি দায়িত্ব নেন তাহলে সিলেটের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আমার বিশ্বাস তিনি আসবেন। নগরবাসীরও বিশ্বাস তিনি আসবেন। কেননা গত ১৭ বছর ধরে তিনি যেখানে আছেন আমাদের সিলেটের মানুষ সেখানে রয়েছেন।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমান আমাদের সিলেটের জামাই (মরহুম এম এ খানের জামাতা)। সে হিসেবে সবদিক থেকে আমাদের দাবির জায়গা হচ্ছে তিঁনি আমাদের অভিভাবকত্ব নেবেন, সিলেট বিভাগের দায়িত্ব নেবেন। আমার বিশ্বাস তিঁনি যদি দায়িত্ব নেন তাহলে সিলেটের ১৯ আসনে এর প্রভাব পড়বে। সিলেটে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। আর যদি কোন কারনে তিনি এখানে প্রার্থী না হন- তাহলে আমি সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হতে চাই। এই উদ্দেশ্যে আমি আমার নগরবাসী এবং মুরব্বীদের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছি। সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমান এর সাথে থাকার সুবাদে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করার সুযোগ হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যখন বিগত সরকারের সময়ে গুম, খুন ও গ্রেফতারের কারণে সবাই ছিলেন আতঙ্কিত। তখন এই সিলেটের নাগরিকরাই, আমার পাশে দাঁড়েিয় নির্বাচনে জয়ী করেছিল। তাই সবার আগে আমি আমার নাগরিকদের পরামর্শকে গুরুত্ব দেই। দল কাউকে এখনো কোন এলাকার জন্য নির্ধারিত করেনি তাই দল যাকে বিবেচনা করবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার জন্য কাজ করব। আমি জনগণের মেন্ডেট নিতে এসেছি জনগণ যদি আমাকে চায়। তাহলে আমি আমার দাবী আমার দলের কাছে পেশ করব। তখন দল সিদ্ধান্ত নিবে কে কোন আসনে নির্বাচন করবে। তবে সিলেট নগরীর বাইরে কোথাও নির্বাচনের চিন্তা আমার নেই। কেননা এই নগরেই আমার সব। আপনার আমার জন্য দোয়া করবেন।”
মেয়র না সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন যেটা সামনে পড়বে সে অনুযায়ী দলের সিদ্ধান্ত নিয়েই করব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মসজিদের মতোয়াল্লি শফিক উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, মুরব্বী সাব্বির আহমদ বাচ্চু, জুবের আহমদ, সাবের আহমদ প্রমুখ।