আমি নিজেও নিরুপায় হয়ে ঘুষ দিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা

সচিত্র সিলেট
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫
আমি নিজেও নিরুপায় হয়ে ঘুষ দিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক:

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের সেবা খাতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি বিরাজমান। তিনি বলেন, উপদেষ্টা হওয়ার আগেও তাকে বাধ্য হয়ে ঘুষ দিতে হয়েছে, যাতে নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হয়।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব ভবনে ‘ট্যাক্স রিপ্রেজেন্টেটিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (টিআইএমএস)’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমি নিজেও একসময় নিরুপায় হয়ে ঘুষ দিয়েছি, যাতে কাজটি সময়মতো হয়। বলেছি, এটা চা-নাশতার টাকা। মানুষ এসব দুর্নীতি থেকে মুক্তি চায়। আপনারা মানুষকে সেবা দিন। মানুষ ভালো সেবা পেলে সেবার মূল্য দিতেও কৃপণতা করবে না।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।

আইটি খাতে বিদেশ নির্ভরতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘অনেকে ডেভেলপমেন্টের নামে বিদেশি হার্ডওয়্যারের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। এতে খরচও বাড়ে। বিদেশি কনসালটেন্টরা অনেক সময় কাজের চেয়ে বেশি কথা বলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভালো কাজ করলেও, অনেক সময় এর পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য থাকে।’

আইনজীবীদের উদ্দেশে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘বাড়তি অর্থ আদায়ের জন্য ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কাজ করার কোনো মানে নেই। সরাসরি ভালোভাবে কাজ করলে মানুষ স্বচ্ছন্দে একই অর্থ দেবে। ভালো সেবা দিলে মানুষ তার মূল্য দিতে আপত্তি করে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিনা পারিশ্রমিকে কর রিটার্ন দেওয়ার কথা বলা হয়, কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব নয়। বরং নির্ভরযোগ্য সেবা দিয়ে উপযুক্ত পারিশ্রমিক নেওয়া উচিত।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আয়কর রিটার্ন পদ্ধতিকে এনবিআর অটোমেট করেছে। আয়কর আইনজীবীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। এতে রাজস্ব আদায় আরও গতিশীল হবে। অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম ব্যক্তি এবং রাষ্ট্র—উভয়ের জন্যই মঙ্গলজনক।’

সরকারি কর্মকাণ্ডে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাচ্ছে। যদিও এটা অন্তর্বর্তী সরকার, তবুও আমরা যে উদ্যোগ নিচ্ছি, তা ভবিষ্যৎ সরকারের জন্যও সহায়ক হবে। যারা বাইরে থেকে কিছুই দেখছেন না, তাদের হতাশ না হয়ে ইতিবাচকভাবে দেখার অনুরোধ করছি।’

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031