অনলাইন ডেস্ক:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে প্রধান শিক্ষকের কাছে আকুতি জানিয়েছে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) উপজেলার কড়ৈতলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পংকজ শর্মার কাছে বিয়ে বন্ধ করতে দরখাস্ত দেয় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী উপজেলার কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
দরখাস্তে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করে, ২০১২ সালের ১৮ জুন জন্মগ্রহণ করেছে। বর্তমানে কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিবার জোরপূর্বক তাকে বিয়ে দিচ্ছেন। তবে এই বিয়েতে সে রাজি না। তাই প্রধান শিক্ষকের সাহায্য চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পংকজ শর্মা বলেন, ‘দরখাস্তটি আমি গ্রহণ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। একই সঙ্গে তাদেরকে অবগত করেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’
ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের বিয়ের বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী রুহি আক্তারের মা সুমি বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে দেখাশোনা হয়েছে। তবে বিয়ের দিন তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি। এখন মেয়ের বিয়ে দিবো না। আর যদি দিই তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেবেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি তাকে। বাল্য বিয়ের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করেন। তখন তার সঙ্গে থেকে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি। এমন তথ্য পেয়ে তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কথা দিয়েছেন, আপাতত মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। কিন্তু তাদের এমন প্রতিশ্রুতির পরও বিষয়টি কঠোর নজরদারিতে রেখেছি এবং প্রয়োজনে ওই স্কুল ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর কথাও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।