অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন প্রশাসন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল এবং দুই মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনে জড়িত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘৭০৩১(গ) ধারার অধীনে প্রধান শাসক নেতাদের বিরুদ্ধে’ এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞায় রাখা মন্ত্রীরা হলেন- বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনীর মন্ত্রী আলভারো লোপেজ মিয়েরা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাজারো আলবার্তো আলভারেজ কাসাস।
9কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল। ছবি: সংগৃহীত
এই নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ এবং প্রজাতন্ত্রের ‘শাস্তি ব্যবস্থার’ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর প্রযোজ্য হবে। তবে তাদের নাম এবং পদমর্যাদা দেওয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, তারা ‘২০২১ সালের জুলাই মাসে বিক্ষোভকারীদের অন্যায্য আটক ও নির্যাতনের’ সঙ্গে জড়িত।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কিউবার ১১টি সম্পত্তির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। ওয়াশিংটনের মতে, এগুলো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে রয়েছে হাভানার টোরে কে হোটেল। এগুলোর সম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া হয়নি।
রুবিও বলেছেন, প্রশাসন কিউবার প্রতি মার্কিন নীতি কঠোর করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ অনুসরণ করছে।
৩০ জুন হোয়াইট হাউস মার্কিন নেতার একটি স্মারকলিপি প্রকাশ করেছে। এতে আমেরিকান নাগরিকদের কিউবায় পর্যটন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ট্রাম্পের এই আদেশে কিউবার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রতি সমর্থন এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে এটি প্রত্যাহারের ব্যবস্থার বিরোধিতা করা হয়েছে।
স্মারকলিপির অধীনে, মার্কিন অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রীদের ট্রাম্পের নির্দেশ মেনে চলার জন্য পদক্ষেপ প্রস্তুত করার জন্য ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কিউবার এমন কাঠামোর একটি তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা থেকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন সরকার কেবল কিউবার রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই নয়, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রধান সম্পাদক এবং তাদের ডেপুটিদেরও ‘নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসাবে বিবেচনা করে’।