সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম জয়কে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহা সড়কের গোবিন্দপুর এলাকায় দেখার হাওরের পাশে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গণিগঞ্জ গ্রামের মুহাদ্দিস মোঃ বশির আহমদ এর পুত্র এবং গণিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী বাজারস্থ ফেমাস টেলিকমের স্বত্ত্বাধিকারী।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ১ টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহা সড়কের গোবিন্দপুর এলাকার দেখার হাওরের পারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও নিঁখোজ ফখরুল ইসলাম জয় এর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিঁখোজ ফখরুল ইসলাম জয় গত ২৮ জুন সকালে নিজ বাড়ী থেকে স্থানীয় নোয়াখালী বাজারের ফেমাস টেলিকমে যান। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। দোকানের সাটার অর্ধ নামানো অবস্থায় নিখোঁজ হন তিনি। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। নিখোঁজের পর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ফখরুল ইসলাম জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন, শান্তিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। পাশপাশি নোয়াখালী বাজার ও গণিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে তার সন্ধানে মানববন্ধনও করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ১ টার দিকে একজন প্রাইভেট কার চালক মুমূর্ষ অবস্থায় সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহা সড়কের গোবিন্দপুর এলাকার দেখার হাওরের পারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফখরুল ইসলাম জয়কে দেখতে পান। এসময় প্রাইভেটকার চালক শোর চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এসে তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাকে দ্রুত স্থানীয় লোকজন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
নিঁখোজ ফখরুল ইসলাম জয় এর চাচাতো ভাই মাহবুব আলম জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোবিন্দপুরের একজন গাড়ী চালক আমার চাচার মোবাইলে ফোন দেন। ফখরুল ইসলাম আপনার কে হন। ফখরুল ইসলামকে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় পানিতে পাওয়া গেছে। তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। পরে আমরা দ্রুত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চলে আসি। হাসপাতালে এসে দেখি, উনার শরীরের অনেক জায়গায় জখম আছে। উনাকে মৃত ভেবে অপহরণকারীরা ফেলে গেছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার(ওসি) আকরাম আলী জানান, ফখরুল ইসলাম জয় নিঁখোজ হওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়রী করা হয়েছিল। এখন শুনেছি ফখরুল ইসলামকে পাওয়া গেছে। উনারা লিখিত ভাবে আমাদের কোন কিছু অবগত করে নাই। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।