নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের কানাইঘাটে বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী (১৬) অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার (৪ জুলাই) ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থান থেকে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই অপহরণ ও ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গেপ্তারকৃতরা হলেন- শুভংকর দাস (২৭), বাবুল আহমদ (২৮), ও ফাহাদ মিয়া। তিনজনই কানাইঘাটের বাসিন্দা।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল জানান, বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। ধর্ষক তিনজনই পরিবহন শ্রমিক। এর মধ্যে বাবুল আহমদ (২৮) দীর্ঘদিন ধরে বাকপ্রতিবন্ধী ভিকটিমকে নজরে রাখছিল।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন রাতে বাকপ্রতিবন্ধী ভিকটিম পরিবারের অগোচরে ঘর থেকে বেরিয়ে গাজী বুরহান উদ্দিন রাস্তায় চলে আসে। এ সুযোগে বাবুল আহমদ (২৮) ভিকটিমকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তখন সে শুভংকর দাস (২৭) কে গাড়ি নিয়ে কচুপাড়া রাস্তায় আসতে বলে। একই সময় সে তৃতীয় ব্যক্তি ফাহাদ মিয়া (২৫) কেও আসতে বলে।
১০ মিনিটের মধ্যে শুভংকর নোহা গাড়ি নিয়ে কচুপাড়ায় অপহরণস্থলে আসলে বাবুল আহমদ (২৮) ও ফাহাদ মিয়া (২৫) বাকপ্রতিবন্ধী ভিকটিমকে জোর করে নোহা গাড়িতে তুলে গাজী বুরহান উদ্দিন রাস্তা ধরে কায়স্তগ্রাম বালুর মাঠ এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন মিলে ভিকটিমকে রাতভর ধর্ষণ করে। ভোরের আলো ফুটে ওঠার আগে তারা ভিকটিমকে বালুর মাঠে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সকালে কায়স্তগ্রামের লোকজন আহত অবস্থায় ভিকটিমকে পেয়ে নিজেদের জিম্মায় রেখে ভিকটিমের পরিবারকে খবর দেয়। ভিকটিমের পরিবার সকাল ৯টার দিকে গিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী ভিকটিমকে শনাক্ত করে এবং তাকে আহত ও অসুস্থ অবস্থায় সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে।
এরপর বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভিকটিমের মা কানাইঘাট থানায় এসে অভিযোগটি লিখিত আকারে দাখিল করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের গ্রেপ্তারে নামে।