সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁদা না পেয়ে সুনামগঞ্জ শহরে দুই ভাইকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে আহত দুই ভাই আল আমীন ও ইসমাইল পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জ শহরে ট্রাফিক পয়েটস্থ শহীদ মিনার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন অনেকে। শহীদ মিনার এলাকায় ব্যবসা করতে হলে প্রতিদিন ২০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা ও যুবলীগকর্মী সুহেল মিয়া। চাঁদা দিতে অপারগত প্রকাশ করলে বৃহস্পতিবার কাপড় ব্যবসায়ী বিল্লাল আহমদকে মারধোর করেন শহরের উত্তর আরফিন নগরের বাসিন্দা সুহেল ও তাঁর ভাই ফল ব্যবসায়ী রয়েল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী বিল্লালের অপর দুই ভাই আল আমীন ও ইসমাইল ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় গেলে পথ আটকে দাঁড়ান যুবলীগকর্মী সুহেল ও তাঁর ভাই রয়েলসহ কয়েকজন যুবক। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হলে সুহেল ও তার লোকেরা আল-আমীন ও ইসমাইলের উপর হামলা করে। এসময় দুই ভাইকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।
পরে স্থানীয়রা দুই ভাইকে আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইসমাইলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সালাউদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় রক্তাক্ত অবস্থায় আল আমীন ও ইসমাইল নামের দুইজন হাসপাতালে আসনে। ইসমাইল নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। তাঁর কোমরের পেছনে একাধিক ছুরিকাঘাত রয়েছে।
ব্যবসায়ী বিল্লাল মিয়া বলেন, ‘আমি শহীদ মিনার এলাকায় ছোটখাটো কাপড়ের দোকানের ব্যবসা করি। সুহেল কিছুদিন যাবত আমার কাছে দৈনিক ২০০ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে তারা মারধোর করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার দুই ভাইয়ের উপর তারা হামলা করে। আমার ছোটভাই ইসমাইল সংকটাপন্ন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’