বিয়ের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ চান, জেনে নিন শর্তগুলো

সচিত্র সিলেট
প্রকাশিত জুন ২৫, ২০২৫
বিয়ের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ চান, জেনে নিন শর্তগুলো

অনলাইন ডেস্ক:

যারা বিয়ের কথা ভাবছেন… কিন্তু হাতে টাকাপয়সা না থাকার কারণে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না, উল্টো হতাশায় ভূগছেন! তারা চাইলেই বিয়ের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। তাদের জন্য ‘বিবাহ ঋণ’ এখন অনেক ব্যাংকেই সহজলভ্য। মানুষের প্রয়োজন বিবেচনায় ভোক্তাঋণের আওতায় বিয়ে করার জন্যও কিছু ব্যাংকের রয়েছে আকর্ষণীয় প্যাকেজ।

‘বিবাহ ঋণ’ এর মূল পয়েন্টগুলো নিচে তুলে ধরা হল:

ঋণের পরিমাণ ও শর্ত:
ঋণের পরিমাণ: ২৫ হাজার থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত।
পরিশোধের সময়: সর্বোচ্চ ৫ বছর।
মাসিক কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।
জামানত সাধারণত প্রয়োজন হয় না।

যারা ঋণ পাবেন:
চাকরিজীবী (স্থায়ী চাকরি, ভালো আয় হলে অগ্রাধিকার)।
বয়স, চাকরির অভিজ্ঞতা ও আর্থিক লেনদেন ইতিহাস বিবেচ্য।
অন্য পেশাজীবী (যেমন- চিকিৎসক, শিক্ষক) এরাও আবেদন করতে পারবেন।

সুদের হার ও কিস্তি:
সুদের হার নির্ভর করে ব্যাংক ও কিস্তির মেয়াদের ওপর।
মেয়াদ যত বেশি, সুদের পরিমাণও তত বাড়ে।

যেসব ব্যাংক বিবাহ ঋণ দিচ্ছে:
উত্তরা ব্যাংক
এনসিসি ব্যাংক
সীমান্ত ব্যাংক
ইউসিবি
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
তবে অধিকাংশ ব্যাংকেই ব্যক্তিগত ঋণ অপশনে বিয়ের খরচ চালানো যায়।

অফার:
বিয়ের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক নানা ধরনের ঋণের অফার দেয়। সেখান থেকে কিছু ব্যাংকের বিবাহ ঋণের অফার দেখানো হলো। বিয়ের জন্য সর্বোচ্চ ঋণ পাওয়া যায় এনসিসি ব্যাংক থেকে। ব্যক্তিগত ঋণের আওতায় বিবাহ ঋণ দেয় এনসিসি ব্যাংক। এই ঋণের সীমা ১ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। চাকরিজীবী, জমির মালিক, ব্যবসায়ীরা এই ঋণ পাবেন। ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা আয় হতে হবে। বাকিদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা।

বেসরকারি ব্যাংক উত্তরা ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিয়ের জন্য ঋণ পাওয়া যায়। এক থেকে তিন বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে বিয়ের জন্য ২ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। তবে এই ঋণ ব্যক্তিগত ঋণ সুবিধার আওতায় নিতে হবে। ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সী চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীরা এই ঋণ পাবেন।একইভাবে ইউসিবি বিয়ের জন্য ঋণ দেয়। এই ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। ৫ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হয়। চাকরিজীবী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, জমির মালিকসহ নানা পেশার লোকজন এই ঋণ পেতে পারেন।

বিজিবি সদস্যদের জন্য বিয়ে ঋণ রয়েছে সীমান্ত ব্যাংকে। শুধু বিজিবির কর্মরত সদস্যরাই ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন। ঋণটি মূলত সংশ্লিষ্ট সদস্যের নিজের বিয়ের জন্য প্রযোজ্য হলেও সন্তানের বিয়ের ক্ষেত্রেও এই ঋণ নেওয়া যাবে। সাধারণ সদস্যদের জন্য এই ঋণের সীমা ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা আছে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এই ঋণ পেতে হলে আবেদনকারীকে বিজিবির স্থায়ী সদস্য হতে হবে এবং ন্যূনতম ৬ বছর সক্রিয় চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তবে সন্তানের বিয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫৬ বছর পর্যন্ত এই ঋণ নেওয়া যাবে।

আবেদন করতে কি কি লাগে:
আবেদন করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, চাকরির প্রমাণপত্র (যেমন আইডি কার্ড, নিয়োগপত্র), সর্বশেষ ৩ থেকে ৬ মাসের পে-স্লিপ, ব্যাংক হিসাবের বিবরণী, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সনদ এবং কিছু ক্ষেত্রে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) প্রয়োজন হয়। বিস্তারিত জানতে সরাসরি ব্যাংকে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে ভালো।

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031