কুলাউড়া প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন জয়নাল আবেদীন আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বদরুজ্জামান। গতকাল শনিবার এই কাউন্সিল হয়। এর আগে সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালে।
এবারের কাউন্সিলে পাঁচটি পদে ১৭ জন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট গ্রহণ শেষে গতকাল রাত আটটার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রেদওয়ান খান ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক ছাড়া অন্যান্য পদে জয়ীরা হলেন সহসভাপতি আবদুল জলিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কমর উদ্দিন আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন আবদুল মুক্তাদির।
এর আগে শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরের কুলাউড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে সম্মেলনের প্রথম পর্ব শুরু হয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হন। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেদওয়ান খানের সভাপতিত্বে এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এম নাসের রহমান বলেন, ‘নির্বাচন চলে আসছে। নয় মাস ধরে আমরা কমিটি গঠন নিয়ে ব্যস্ত, কে প্রেসিডেন্ট আর কে সেক্রেটারি হবে। আর প্রতিপক্ষ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তৎপর। তারা আগাইয়া আছে। এটা নিয়ে আমি নাসের রহমান খালি চিল্লাচিল্লি করি। আর কারও মাথাব্যথা নাই।’ দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একটা বিশেষ দলের টাকার অভাব নাই। তাদের ব্যাংক, হাসপাতাল, ক্লিনিক সব আছে। তাদের বড় বড় নেতারা বেতনভুক্ত। ফেসবুকে ওই দলের বট বাহিনী আছে। আমাদের বট বাহিনী নাই। আমাদের আছে পদ বাহিনী। তারা নেতার পিছনে দাঁড়াইয়া থাকে, নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। এখনো সময় আছে। প্রতিপক্ষকে কঠিনভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
প্রধান বক্তা জি কে গউছ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন নির্যাতন চালানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল, পারেনি। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দল টিকে আছে। তিনি বলেন, দলকে সুসংগঠিত করতে হবে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।