নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট নগরীর ক্বীন ব্রিজ হকারমুক্ত ও নগরীর তীব্র যানজট নিরসনে, হকার উচ্ছেদ ও প্রয়োজনীয় পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনসহ অনুমোদনহীন গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে মানব কল্যাণ পরিষদ সিলেট এর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানব কল্যাণ পরিষদ সিলেটের সভাপতি ইমরান আহমদ এর সভাপতিত্বে ও আনোয়ার হোসেন ছয়ফুল এর পরিচালনায় মানববন্ধনে একাত্বতা পোষন করে বক্তব্য রাখেন- মদন মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কর্ণেল (অব:) আতাউর রহমান পীর, ইসলামী আন্দোলন সিলেট মহানগরের সভাপতি ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগরের সহসভাপতি প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান, এনসিপির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা সায়মন সাদিক জুনেদ, সিলেট জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক বাছিতুর রহমান বাছিত, এমসি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি খাঁন মো. ছামি, এমসি কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইসমাইল খান সৌরভ, মদন মোহন কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মিজানুর রহমান, মদনমোহন কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনাছ মাহফুজ, মানব কল্যাণ পরিষদ গোলাপগঞ্জ শাখার সভাপতি শাহদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা মানব কল্যাণ পরিষদ নেতা হাফিজুর রহমান, সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সলমান আহমদ, প্রচার সম্পাদক সেলিম আহমদ, শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক করিম হোসেন, বুধবারি বাজার ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক হানিফ, সদর ইউনিয়নের সভাপতি শিপু আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ, বাঘা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান সুমন, জাহাঙ্গীর, তাজ, জেবুল, তাহেল প্রমুখ। এছাড়াও মানববন্ধনে সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিলেট মহানগর জমিয়তের সহসভাপতি মোক্তার আহমদ।
মানববন্ধনে বক্তারা ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে হকারদের নগরীর রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। এক্ষেত্রে নগরীর হকারদের পূর্ণ তালিকা তৈরি করে তাদেরকে পূণর্বাসন কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। এরপরও হকাররা পূণরায় রাস্তা দখল করলে প্রথমে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ৮ হাজার টাকা জরিমানা এবং তারপরও যদি আবার রাস্তা দখল করে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক দুই থেকে তিন মাসের কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গাড়ি পার্কিং করলে গাড়ির মালিক, দোকানের মালিক ও মার্কেটের মালিকদের বিরুদ্ধে জরিমানার ব্যবস্থা করা। যানজট সৃষ্টি হয় এমন অবৈধ বিভিন্ন গাড়ির স্টেশন উচ্ছেদ করা। অনুমোদনহীন গাড়ি চলাচল বিশেষকরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা নিষিদ্ধ করা। সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নতুন করে নগরীতে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিবন্ধনের অনুমতি না দেওয়া। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বীন ব্রীজ থেকে সম্পূর্ণরূপে হকার উচ্ছেদে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। উপরে উল্লেখিত পয়েন্টগুলোতে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা। ট্রাফিক পুলিশের কাজের স্বচ্ছতা যাচাই করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়াও জনগণকে ট্রাফিক নিয়ম মানার জন্য প্রশাসন কর্তৃক ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো।
বক্তারা উপরোক্ত দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান।