নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই তার গাড়ির চালকের কাছে টিকেট কালোবাজারি করছিলেন রেলের এক এটেনডেন্ট। তখন তাকে হাতেনাতে ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজ।
রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম (৩০)। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার মটবী, চন্দ্রগঞ্জ এলাকার নুরুল হুদার ছেলে। তিনি পারাবত এক্সপ্রেসের এটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট কালোবাজারি করায় সাইফুল ইসলাম নামের একজন রেল এটেনডেন্টকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারার তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজ।
এ ব্যাপারে সিলেট রেলওয়ের স্টেশনের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, পারাবত এক্সপ্রেসের এটেনডেন্টকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে যে টিকিট কালোবাজারি করলো সেই টিকেট কোথায়? কোনো টিকেট ছাড়াই তাকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজ বলেন, রেল স্টেশন এবং বাস স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি বেড়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করি নিয়মিত এই অভিযান পরিচালনা করতে। কয়েকদিন আগেও দুজনকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ যাকে টিকেট কালোবাজারি করতে পাওয়া গেছে তিনি রেলের একজন এটেনডেন্ট।
সিলেট রেলওয়ের স্টেশনের ম্যানেজারের অভিযোগ তিনি বলেন, আমার গাড়ির চালকের কাছে আমার উপস্থিতিতে তিনি টিকিট কালোবাজারি করছিলেন। আমি সরাসরি তখন উপিস্থিত ছিলাম। যেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরাসরি উপস্থিত হয়ে তাকে ধরেছেন সেখানে অন্য কোনো প্রমান লাগে না দণ্ড দিতে।
তিনি বলেন, মানুষজন যাতে হয়রানিমুক্তভাবে যাতায়ত করতে পারেন সেজন্য টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।