নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটে বুধবার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মাওলানা জুবায়ের আহমেদকে নগরের আখালিয়ার বড়গুল এলাকায় হত্যা করে তারই শ্যালক পুত্র নয়ন আহমদ।
নিহত মাওলানা জুবায়ের আহমদ (৪৫) আখালিয়া বড়গুল গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ও ডলিয়া এলাকার ডা. তানজিনা আহমদ দাখিল মাদরাসার সুপার।
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে বুধবার ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে বলেন, গতরাতে আমার ছোট ভাই পড়তে বসছে। এসময় যে মারছে সেই নয়ন আমার ছোট ভাইকে ডাকে। একারণে বাবা নয়নকে ধমক দেন। এসময় সে বাবার সাথে তর্ক করে। এরপর আজ সকাল ৯ টায় বাবা মাদ্রাসা যাওয়ার সময় তাকে ছুরি দিয়ে পেট কেটে ফেলে। বাবার শরীরে ১৯টি স্টেপিং করে।
তিনি বলেন, আমার বাবার আয়ে আমাদের পরিবার চালতো। এখন আমাদের পরিবার কিভাবে চলবে।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত নয়ন আমার মায়ের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। তিনি আমাদের প্রতিবেশি। তিনি শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে অভিযোগ করেন ছেলে।
তবে নয়নের রাজনৈতিক পরচেয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ জানায়, মাওলানা জুবায়ের আহমদের স্ত্রীর বড় ভাই আল-আমিনের ছেলে নয়ন আহমেদ এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় নয়নকে শাসাতেন মাওলানা জুবায়ের। বুধবার মাদরাসায় যাওয়ার সময় রাস্তায় নয়ন ময়লা পানি ছুঁড়ে মারে তার ফুফার গায়ে। এতে মাওলানা জুবায়েরের কাপড় নোংরা হয়ে যায়। বিষয়টি তিনি ফোনে পরিবারকে জানান। এরপর তিনি মাদরাসার উদ্দেশ্যে হাঁটতে থাকলে পেছন থেকে এসে নয়ন উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ জানান, ‘চালচলন ভাল না হওয়ায় কিছুদিন আগে মাওলানা জুবায়ের তার ছেলের সাথে নয়নকে মিশতে নিষেধ করেন। বুধবার মাদরাসায় যাওয়ার পথে প্রথমে সে পানি নিয়ে মাওলানা জুবায়েরের কাপড় নোংরা করে এবং পরে তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে।’