নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসে সিলেট ফিরছিলো কিশোরী। তার বাড়িও এ অঞ্চলে। কিন্তু ভুল করে নেমে পড়েছিল শায়েস্তাগঞ্জে। এরপর তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে দুই দুইবার গণধর্ষণ করা হয। সেই ধর্ষণকাণ্ডের প্রধান আসামী মাসুমকে খাঁচায় পুরেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাব-৯।
মঙ্গলবার ( ৫ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার নিজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডগি মাসুমের পুরো নাম মো. মাসুম মিয়া। তবে নিজের এলাকায় তাকে সবাই ডগি মাসুম বলে ডাকেন। তার আরেকটা নাম আছে। সেটা হচ্ছে মাহমুদুর রহমান (২৫)। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ থানার নিজগাঁও গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখা জানায়, গত ৮ জুলাই ওই কিশোরী নিজের বাড়ি সিলেটে ফিরতে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেসে উঠেন। কিন্তু ভুল করে ৯ জুলাই ভোর ৪টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মনে করে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে নেমেপড়ে।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ফুসলিয়ে মাসুমসহ আরও কয়েকজন পূর্ববড়চর গ্রামের একটি বসতবাড়ির পরিত্যাক্ত বারান্দায় নিয়ে যায় এবং মাসুমসহ আরও কয়েকজন মিলে ধর্ষণকরে। পরে আবার তারা নিজগাঁও গ্রামে তাকে নিয়ে যায় এবং একটি বাগানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবারও গণধর্ষণ করে ফেলে যায়। অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎনা শেষে তাকে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে তার অভিভাবক সাথে না থাকায় পুলিশ বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয। এরপর র্যাব পুলিশ অভিযান শুরু করলেও এতদিন ধুর্ত মাসুম পালিয়ে ছিল।
মাসুমকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানাপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৯ গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।